যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ডাংকি (DUNKI) | শেষ পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | প্রথম পর্ব
রাজকুমার হিরানির ডাংকি দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, এটা ফিল্মের ডাংকি নয়, আমার ডাংকি! এবং আমার ডাংকির ২য় পর্বে আপনাকে স্বাগতম।
শুরুতেই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে গেঁথে নিন, আমি যে ডাংকির প্রেক্ষাপট আপনাদের দেখাব, সেটি কিন্তু গুগল ফেইসবুকের আগের যুগের! অথবা শুরুর যুগের। যদিও সেটি একই ধারায় চলমান বহুবছরের একটি প্রক্রিয়া যা সময়ের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে পরিবর্তিত। তবে ইদানীং গুগলে ইলিগ্যাল মাইগ্র্যান্ট লিখে সার্চ দিলে ব্যাগ কাঁধে যাদের দেখতে পান, এরা কিন্তু শতভাগ সেই ধারার ডাংকির মাইগ্র্যান্ট নয়। ইলিগ্যাল মাইগ্র্যান্টদের কাঙ্ক্ষিত বর্ডারের বেশীরভাগ এখন দেয়াল তুলে সিল্ড করা হয়েছে। তাই বাক্স-পেটরা নিয়ে বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে বর্ডার খুলে দেবার দাবিতে বিক্ষোভরত ইদানীংকালের মাইগ্র্যান্টদের শতভাগ ডাংকি ভেবে ভুল করবেন না।
বর্ডার ক্রসিংয়ে ডাংকির দুটো ধরন রয়েছে। ধরন না বলে ক্লাস বলাই বোধহয় যুক্তিসঙ্গত শোনাবে। বিমানে যেমন ফার্স্টক্লাস এবং ইকোনমি ক্লাস, অনেকটা তেমন। ফার্স্টক্লাস ডাংকিতে আপনি বড় বড় পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানে বিশেষভাবে তৈরি করা কফিন চেম্বারে শুয়ে থাকবেন! কফিন চেম্বার এজন্যেই বললাম অনেকটা কফিনের সমান বক্সেই আপনাকে শুইয়ে দেয়া হবে। আপনি এভারেজের চেয়ে বেশী মোটা কিংবা বেশি লম্বা হলে সেখানে কিভাবে ফিট হবেন সেটা আপনার ব্যাপার! যদি আপনার ক্লস্ট্রোফোবিয়া (Claustrophobia) না থাকে তাহলে দুশ্চিন্তা করবেন না, একটা সিলিন্ডার থেকে পাইপের মাধ্যমে সবকটি কফিন চেম্বারে অক্সিজেনও সরবরাহ করা হবে। যাত্রাকালও সংক্ষিপ্ত, অনেকটা ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবার মত, এক রাত বা এক বেলার ১০/১২ ঘন্টা জার্নি বা ক্ষেত্র বিশেষে তারও কিছু বেশী। কফিন চেম্বার ছাড়া যত অ্যাভেইল্যাবল রিলাক্স মুডে আপনি এই পণ্যবাহী গাড়ীর ডাংকি হবেন, ধরা পড়ে যাবার সম্ভাবনা ততই ব্যস্তানুপাতিক হারে বেড়ে যাবে!
এই ফার্স্টক্লাস ডাংকির খরচ বেশি। দালালের সাথে চুক্তিতে দেশ থেকে যাওয়া ছেলেরা এই ডাংকিতে চড়তে পারে না। কারন দালাল যত কম খরচে আপনাকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেবে, তার তত লাভ! স্বাধীন এবং স্বচ্ছল মাইগ্র্যান্টরাই কেবল এই প্রথম শ্রেনীর যাত্রী। তবে সমস্যা হলো- ইদানীংকালে বাংলাদেশের পুলিশ যেভাবে ট্রাক-বাসের গোপন চেম্বার থেকে ইয়াবার চালান বের করে ফেলে, ইউরোপের বর্ডার পেট্রোল বাহিনীও একইভাবে কফিন চেম্বার খুঁজে ইমিগ্র্যান্ট বের করে ফেলে! ফলাফল- আপনি যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ফেরত। এরপর আবার সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ এটেম্পট, এভাবে চলতে থাকে। কেউ কেউ ১০-১৫ বারে সফল হয়, অনেকে কখনই সফল হয় না। অনেকে আবার নির্দিষ্ট নিরাপদ গন্তব্যে পৌচ্ছাতে দেরী হবার কারনে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় কফিন চেম্বারেই করুণ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন! যদিও ড্রাইভার জানে কখন আপনাদের অক্সিজেন শেষ, আপনারা মারা যাচ্ছেন! তবুও ধরা পড়ে জেল জরিমানার ভয়ে যেখানে সেখানে বক্স খুলে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো তাগিদ উনি অনুভব করবেন না! এখানে বলে রাখা ভাল- ইউরোপ তথা পশ্চিমা দেশগুলোতে হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, ড্রাগস ট্র্যাফিকিং এবং আর্মস ট্র্যাফিকিং তিনটিই সমমাত্রার প্রথম শ্রেনীর গুরুতর অপরাধ! ধরা পড়লে জামিন নাই !
এহেন অখ্যাত মৃত্যু সংবাদগুলো খুব একটা সংবাদমাধ্যমে আসে না বা শতভাগ আসে না। কারন জাতিসংঘ জীবিত মানুষ নিয়ে ততটা সোচ্চার না, যতটা সোচ্চার তারা মৃত মানুষ নিয়ে। যে দেশের সীমানার ভেতর মৃত্যু হয়, সে দেশের উপর বেশ চাপ আসে উপর মহল ( জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মোড়ল রাষ্ট্র ) থেকে। মরার পরে তাদের মনে প্রশ্নের উদয় হয় কেন মরল? কেন আশ্রয় দিয়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলো না?
তাই গোপনে লাশ দাফন করে দালালচক্রও বেঁচে যায় খুনের দায়ভার থেকে, দেশও বেঁচে যায় জবাবদিহিতার দায়ভার থেকে! মরে যায় শুধু মানুষটা! কারো প্রিয় মানুষটা, কারো পরিবারের একমাত্র অবলম্বনটা, কারো অতি আদরের সন্তানটা, প্রেমিকাকে ‘একদিন স্বাবলম্বী হয়ে ফিরে আসব’ কথা দিয়ে আসা বেইমান প্রেমিকটা! যার প্রেমিকা সারাজীবন জানবে বেইমানটা বিদেশ গিয়ে নিজের পরিবারকেই মনে রাখেনি, আমাকে কীভাবে মনে রাখবে!
কষ্ট পাচ্ছেন? এখনি? ইকোনোমি ক্লাসের ডাংকির গল্প তো এখনও বাকি! আর এই ইকোনোমি ক্লাসের ডাংকির প্রস্তুতি দিয়েই প্রথম পর্বের লেখা শেষ করেছিলাম। যে যাত্রার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করা হয়েছে, ডাংকির এই রুট (route) স্থান ভেদে কয়েকশ কিলোমিটার পর্যন্ত পায়ে হাঁটা দুর্গম পথ! আর এজন্যই দেশ থেকে সুন্দর কালার পছন্দ করে কিনে আনা ফ্যাশনেবল ব্যাগখানি ফেলে দিয়ে, এক কাপড়ে, শুকনো খাবার পকেটে গুঁজে নিতে বলা হয়েছে! আপনার শরীরে কোনো বাড়তি ওজনের ঝামেলা তারা চায় না যা আপনাকে ক্লান্ত করে হাঁটার গতি কমিয়ে দিতে পারে! আপনি অবশ্য এসবের কিছুই জানেন না, আপনি জানেন ২ রাতের পায়ে হাঁটা পথ ! আজ এবং কাল এই দুই রাত হাঁটলেই পরশু ইউরোপ ! আহ! ‘আমাদের’ স্বপ্নের ইউরোপ! কত সাধের! কত আকাঙ্ক্ষার ইউরোপ!
ডাংকির দালালদের ‘ডংকার’ ডাকা হয়। এই দীর্ঘ দুর্গম পথ কয়েকটি ডংকার বাহিনী পর্যায়ক্রমে ডাংকির দলকে ক্রমশ বর্ডারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ডংকারদের প্রথম দলটি আপনাদের পুরো ডাংকির দলকে শহর পাড়ি দিয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন কোনো এক গ্রামে নিয়ে যাবে, নিতান্তই কম জনবসতিপূর্ণ। সেখানে পরিত্যক্ত শস্যাগার(barn) অথবা আস্তাবল(stables) জাতীয় একটি নোংরা অস্বাস্থ্যকর থাকার জায়গায় আপনাদের আশ্রয় মিলবে। সেখানে আপনি দেখা পাবেন আপনাদের মত ছোট ছোট অনেক ডাংকির দল! আফগানি, সিরিয়ান, ইরাকী, ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্থানী সহ বাংলাদেশী ডাংকির অন্য দলের। না, সেখানে পিকনিকের আমেজে ইউরোপ যাবার উন্মাদনায় ঘুরে বেড়ানো বা খোশগল্প করে সময় কাটবে এমন ভাবনা এখনি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন এবং এখন থেকেই হিউম্যালিয়েশন, হারেসম্যান্ট এবং এমবারেসমেন্ট এসবের প্রস্তুতি নিন! চুপচাপ ঢুকে পড়ুন সেখানে, বসে থাকুন কোথাও ভেড়ার পালের মত চুপচাপ! ওয়েলকাম টু হেল বাডি.. বা নরকে আপনাকে স্বাগতম -এটা আপনাকে এখন বলাই যায়!
কিছু ডাংকির দল আগেই সেখানে চলে এসেছে, আপনারা এখন এসে পৌঁছেছেন, এবং বুঝতে পারছেন এখনো এসে পৌঁছানোর বাকি আরও বেশকিছু দলের। দিন পার হয়ে রাত হয়ে গেল, থেমে থেমে ডাংকির দল আসছেই। থাকার জায়গাটা ক্রমেই ঘনবসতিপূর্ন হয়ে যাচ্ছে, গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে। শক্তি-সামর্থ, আকার-আকৃতি এবং হিংস্র মনোবৃত্তি এই তিন উপাদানের উপর নির্ভর করবে আপনি সেখানে কতটা কোনঠাসা হয়ে থাকবেন আর কতটা ডমিনেটেড থাকবেন। অন্যান্য যেসকল দেশের ডাংকি এখানে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছি, তন্মধ্যে ভারতীয় এবং বাংলাদেশীরাই এই যোগ্যতায় সবার নীচে! আপনার অবশ্য অতটা খারাপ লাগছে না এই ভেবে- না হয় পাশের ইরাকী/সিরিয়ান দলটা একটু বেশিই জায়গা দখল করে আছে, কতক্ষনই বা আর? আর কিছুসময় পরেই তো বর্ডারের পথে রওনা হব। কিন্তু আপনি এটা জানেন না, পরবর্তী ডংকার (দালাল) সবুজ সংকেত না দেয়া পর্যন্ত আপনাকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এখানেই পড়ে থাকতে হবে! ভাল কথা, ক্ষুধা লেগেছে? পকেটে হাত দিন!
এখন আমি আপনাদের এমন এক কাহিনী শোনাব, যে কাহিনী আপনি হয়তো রয়টার/এপি/বিবিসি.. কাউকেই বলতে শোনেননি! এই কথা আসলে কাউকে বলাও যায় না! তাই হয়ত সংবাদের আড়ালে থেকে গিয়েছে। আর এসবের দৌড়াত্ম্য সম্পর্কে তখন সমাজ আরো কম খোলামেলা ছিল! বলছি সমকামিতা নিয়ে, আরো স্পষ্ট করে বললে- অসহায়ত্বের সুযোগে সমকামিতা!
যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের শরণার্থী শিবিরে (নিকট অতীতে সিরিয়ান শরণার্থী শিবিরের ঘটনা জেনে থাকবেন হয়তো) অসহায় যুবতী কিশোরীরা যেমন একদল নরপশুদের চোখে পড়ে যায়, ঠিক তেমনি কার্যত অসহায় ডাংকিদের ক্যাম্পে এরকম কিছু নরপশুদের আনাগোনা হয়। যদি এই নরপশুর তালিকায় ডংকার দলের কেউ নিজেই থাকেন, নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে ফেলেন ডেকে নিয়ে গিয়ে। আর যদি নরপশু বাইরের কেউ হন, তাহলে ডংকার টাকার বিনিময়ে বিকিয়ে দেন কাউকে কিছু সময়ের জন্য! সাধারণত ছোটখাট (short heighted), দেখতে ভাল এবং কম প্রতিরোধ করতে পারবে এমন ছেলেরাই এই নরপশুদের প্রধান ভিকটিম। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেউ না জানলে এই ঘটনা আমি জানি কি করে? (প্রথম পর্বে ধারনা পেয়ে একজন আমাকে কমেন্টে প্রশ্নও করেছেন)
উত্তর- এই পথে পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানো বেশিরভাগ মানুষ শতভাগ আহামরি সাকসেসফুল কিছু হয় না। স্থানীয় গার্মেন্টসে কাপড় সেলাই এবং রেস্টুরেন্টে ক্লিনার হয় ৬০ভাগ প্রবাসী। ১৫ ভাগ রাস্তায় হেঁটে ফুল বিক্রি করে, ১০ ভাগ অবৈধভাবে ফুটপাথে কম দামে চায়নিজ অন্তর্বাস এবং কাপড় বিক্রি করে (যার প্রধান ক্রেতা বুলগেরিয়া/রোমানিয়া/জর্জিয়া/মলদোভা/ইউক্রেন ইত্যাদি দেশগুলোর কর্মজীবী ইমিগ্র্যান্ট নারীরা), ৫ ভাগ কনস্ট্রাকশন লেবার/রং মিস্ত্রি, ৫ ভাগ ট্রাফিক সিগনালে গাড়ির উইনশিল্ড মোছে, আর বাকি ৫ ভাগ দুলাভাইয়ের মুদি দোকানে সেলসম্যান/ চাচার হোটেলে ওয়েটার-ক্যাশিয়ার/ মামার সস্তা মোবাইলের দোকানের আড়ালে হুন্ডি ব্যবসার টাকা রিসিভ করে।বাড়তি ইনকাম হিসেবে চাকরিতে ওভারটাইম, এবং ফুল-ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের বাড়তি ইনকাম আসে বৃষ্টির দিনে পাতাল রেলের প্রবেশমুখে ২ ইউরোর চায়নিজ ছাতা ৫ ইউরোতে বিক্রি করে এবং সামারে (summer) সমুদ্রতীরে সানবাথের চাইনিজ চাটাই এবং সান হ্যাট বিক্রি করে।
কিছু মানুষ সেখানে অল্পদিনের মেহমান হিসেবে বিমানে চেপে যায়- ছাত্র/ব্যবসায়ী/ভ্রমনকারী হিসেবে। তারমধ্যে ছাত্ররাই সবচাইতে দীর্ঘ সময়ের মেহমান। এই ছাত্রদের অভিবাসী মানুষগুলো অনেক সন্মান করে, বাবা/চাচার বয়েসি লোক সিগারেট বাড়িয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না। একদিন দাওয়াত করে খাওয়াতে কখনই টাকার হিসেব করে না। দেশে ফোন করে বাবা/মা/বউ কে যা না বলবে, আপনি তার চে ঢের বেশি জানবেন। যতক্ষন তার সাথে থাকবেন ততক্ষণ জানবেন দেশে তার কাছে কে কি চেয়েছে? বাবা ২ বিঘা জমি বায়না করে ফেলেছে, বাকি টাকা তার দেয়াই লাগবে! বউ কার গয়না এক-আধ ভরি বেশী হয়ে গেল সেই হিসেবে নতুন গয়নার বায়না ধরেছে, ভাগিনা মোবাইল চেয়েছে দামি মোবাইল, বন্ধু বিদেশ নিয়ে আসতে বলেছে যে করেই হোক!.. আর মা? মা দের কখনো কিছু চাইতে শুনিনি, তারা শুধু কমন কিছু কথাই সারা বছর বলেন- ভাত খাইছ বাবা? কবে আসবা? আগের চেয়ে শুকিয়েছ কি না? শীত বেশী ? ঠান্ডা লাগিও না…
বাংলাদেশে পরিবারের ক্রমাগত প্রয়োজন মেটানো টাকার মেশিন, মাত্র ৫০০-৭০০ ইউরো কামানো এই মানুষটা মাঝে মাঝে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ২ টা বিয়ারের ক্যান কিংবা ২ পেগ মদ খেয়ে মগজ কে শান্তি দেবার ব্যর্থ চেষ্টা করে, মাঝে মাঝে তার কথায় বের হয়ে আসে তার কষ্টের অতীত! কান্নাজড়িত কন্ঠে আবেগতাড়িত হয়ে অনেক কিছুই বলে ফেলেন ! সে কষ্টের কথা শোনার পর অনেকেই তা চেপে রাখেন, সব কথা কি আর বলে বেড়ানোর মত!
মনে আছে তো কোথায় ছিলেন? ডাংকির পরবর্তী পয়েন্ট থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন আপনি.. কথা দিলাম, ৩য় পর্বে অবশ্যই আপনার ডাংকি আমি ইউরোপে পৌঁছে দেব… [শেষ পর্ব]
লেখকঃ তুষার শুভ্র