যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বইঃ শ্রাবণ মেঘের দিন
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মিউজিক্যাল ড্রামা খুব কমই আছে। এদের মধ্যে নিঃসন্দেহে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ হুমায়ূন আহমেদের সেরা নির্মাণ। তার লিখিত উপন্যাস থেকে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটির শুটিং হয়েছিলো নুহাশ পল্লীতে। তিনি সবেমাত্র গাজীপুরে নুহাশপল্লী নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। ডাক্তার এজাজের মতে এই সিনেমার কলাকুশলীদের থাকার জন্য ১ সপ্তাহের মধ্যে ৪টা ঘর তৈরি করতে হয়েছিলো।
“একটা ছিল সোনার কন্যা মেঘবরণ কেশ…”, “আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে…”, “কেহ গরিব অর্থের জন্য, কেহ গরিব রুপে…”, “আমার ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা চালা ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁকে…”, “মানুষ ধর মানুষ ভজ শোন বলি রে পাগল মন…”, “ আইজ আমরার কুসুম রাণির বিবাহ হইবো…”, “ সুয়াচান পাখি, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছো নাকি…”— এমন সব কালজয়ী গান এই সিনেমাটির প্রাণ। বাউল রশিদ উদ্দিন ও উকিল মুন্সীর কিছু গানকে বারী সিদ্দীকীর কণ্ঠে জীবিত করেছেন পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ। বাকি গানগুলো নিজেই লিখেছেন।
সিনেমার কিছু কিছু ডায়লগ একেবারে অন্তরে বিঁধার মত। সারারাত বৈঠা বাইতে বাইতে মতি মিয়া যখন বলে “গরীবের আবার কষ্ট কি? কষ্ট বড়লোকের জিনিস”, কিংবা কুসুম যখন লজ্জায় অবনত সুরুজ মিয়াকে বলে “বাপজান আপনেরে আনছে আমার সাথে বিবাহ দেবার জন্য, আমারে কি আপনের পছন্দ হইছে?” এই সংলাপগুলো কি সহজে ভোলা যায়? অথবা সুরুজ মিয়া যখন পুস্পকে বলে, “মানুষ হইয়া জন্মাইছো, মনে তো কষ্ট পাইবাই। মনে কষ্ট পায়না গরু ছাগল, তুমি তো আর গরু ছাগল না। দেহি, চোখ মুছাইয়া দেই…”
জমিদার ইরতাজউদ্দিন সাহেব ১৯৭১ সালে রাজাকার ছিলেন। তাই ২৪ বছর ধরে জমিদারের ছেলে রাগ করে বাড়ি ফিরে না। গ্রামের মানুষও জমিদারকে তেমন একটা পছন্দ করে না। দীর্ঘদিন পর সেই জমিদারের নাতনী শাহানা বড় ডাক্তার হয়ে ছোটবোনসহ গ্রামে বেড়াতে আসে। বৃদ্ধ জমিদার দুই নাতনীকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। বড় নাতনী শাহানা তার দাদার মত জমিদারি অহংকার নিয়ে প্রাসাদে আটকে থাকেন না। তিনি গ্রামের ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়ান, নিজের ডাক্তারি মেধায় মানুষের সেবা করেন। ধীরে ধীরে এই নাতনীদের জন্য গ্রামের মানুষ জমিদারকেও ভালবাসতে শুরু করে।
ঐ গ্রামেরই মেয়ে কুসুম, গাতক মতি মিয়াকে নিয়ে ভাবে। তার গানের গলাও ভালো। মতি মিয়াকে নিয়ে গানের দল করে দেশে দেশে ঘুরার ইচ্ছে তার। অন্যদিকে, কুসুমের বাপজান উজান থেকে সুরুজ মিয়াকে নিয়ে আসে কুসুমের সাথে বিবাহ দেওনের জন্য। ডাক্তার আপা, কুসুম ও সুরুজ মিয়ার সাথে গাতক মতি মিয়ার কাহিনীও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে… কিন্তু তারপর?
যারা এই কালজয়ী সিনেমাটি এখনও দেখেন নি কিংবা বইটিও পড়েন নি তারা যে মিস করছেন তা বলে বোঝানো যাবে না। নিচের লিঙ্ক থেকে এক্ষুনি দেখে ফেলুন অথবা পিডিএফটি পড়ে ফেলুন।
আরও পড়ুনঃ এইসব দিনরাত্রি হুমায়ুন আহমেদ উপন্যাস রিভিউ | Eisob Dinratri Book PDF