যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বইঃ সোনার তরী
লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জনরাঃ কাব্যগ্রন্থ
মুল্যঃ ১২৫
সোনার তরী কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি বিখ্যাত রচনা। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রোম্যান্টিক কাব্য সংকলন এই সোনার তরী। ১৮৯৪ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। রবী ঠাকুর তার সোনার তরী কাব্যগ্রন্থটি রচনা করার সময় ঘুরে বেড়িয়েছেন পূর্ব বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। ফলে গ্রামাঞ্চলের নর-নারীর সুখ – দুঃখ, আশা – নিরাশা ও মান – অভিমানের সাথে তার নিবিড় পরিচয় মেলে এবং মনে প্রাণে তা অনুভব করবার সুযোগ পায়।
আরও পড়ুনঃ সোনার তরী কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা
মূল বিষয়বস্তু
“সোনার তরী” কাব্যে মূলত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবপ্রীতি নতুন মাত্রা যোগ দিতে চেয়েছেন। এই কাব্যগ্রন্থে বাংলার বৃহত্তর জনজীবনের প্রতি আকর্ষণ ব্যাপকভাবে লক্ষ্যনীয়। এ পর্যায়েই কবির কাব্য চেতনায় জীবনদেবতা সম্পর্কে নতুন তত্ত্বের উন্মেষ ঘটে। “সোনার তরী” কাব্যগ্রন্থটির বেশ কিছু কবিতার সাথে পদ্মাপাড়ের পল্লীপ্রকৃতির গভীর সংযোগ বিদ্যমান। রবীন্দ্রনাথের নিজের ভাষায়,
“আমার বুদ্ধি এবং কল্পনা এবং ইচ্ছাকে উন্মুখ করে তুলেছিল এই সময়কার প্রবর্তনা, বিশ্বপ্রকৃতি এবং মানবলোকের মধ্যে নিত্য সচল অভিজ্ঞতার প্রবর্তনা। এই সময়কার কাব্যের ফসল ভরা হয়েছিল সোনার তরীতে।”
“সোনার তরী” কাব্যগ্রন্থের “সোনার তরী” নামক কবিতাটিতে কবি জীবন ও তার কীর্তির ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কবিতার শেষ পংক্তিদুটি অবিস্মরণীয় –
“শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।”
“সোনার তরী” কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হল- “সোনার তরী”, “বিম্ববতী”, “সুপ্তোত্থিতা”, “বর্ষাযাপন”, “হিং টিং ছট”, “বৈষ্ণবকবিতা”, “দুই পাখি”, “যেতে নাহি দিব”, “বসুন্ধরা”, “নিরুদ্দেশ যাত্রা” ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কমলাকান্তের দপ্তর প্রবন্ধ পিডিএফ | Komola Kanter Doptor PDF
সোনার তরী কবিতার বিশ্লেষণ
বাংলা কবিতার ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ একটি চিরস্মরণীয় কবিতা। কবিতাটিতে চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা একটি দ্বীপের মতো ধানখেতে নিঃসঙ্গ এক কৃষক তার উৎপন্ন ধানের সম্ভার নিয়ে অপেক্ষ করে। তার পাশেই খরস্রোতা নদী আকাশের ঘন মেঘ আর ভারী বর্ষণে হিংস্র হতে থাকে। দ্বীপের চারদিকের ‘বাঁকাজল’ অনন্ত কালস্রোতের প্রতীক হিসেবে কৃষকের মনে ঘনঘোর সৃষ্টি করে। খরস্রোতা নদীতে তখন ভরাপালে নৌকা নিয়ে বেয়ে আসা এক মাঝিকে দেখে কৃষক মাঝিকে অনুরোধ করে নৌকা কূলে ভিড়িয়ে তার উৎপাদিত সোনার ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাঝি সোনার ধান মহাকালের নৌকায় তুলে নিয়ে চলে গেলেও স্থান হয় না কৃষকের। আশাহত কৃষক শূন্য নদীর তীরে একা পড়ে থেকে অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষায় থাকে।
সোনার তরী কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলো বিশ্লেষণ করলে, বেশ কয়েকটি ধারার কবিতা পাওয়া যায়।
- প্রকৃতি আর মানুষের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য্য, যা কোন কল্পনার বিষয় নয়। আর এই সৌন্দর্যকে রূপকের সাথে কবি প্রকাশ করেছেন – সোনারতরী, পরশ পাথর, আকাশের চাঁদ, দেউল, দুই পাখী প্রভৃতি।
- সংসারকে সত্যভাবে গ্রহন ও ধরনীর প্রতি ভালোবাসা -মায়াবাদ, খেলা, গতি, মুক্তি, অক্ষমা, দরিদ্রা, আত্মসমর্পণ, বৈষ্ণব কবিতা, গানভঙ্গ প্রভৃতি।
- বিশ্বের সাথে একাত্মতা, বিশ্বসৌন্দর্য, রহস্যের অনুভূতি – সমুদ্রের প্রতি, বসুন্ধরা, বিশ্ব নৃত্য, মানস সুন্দরী, নিরুদ্দেশ যাত্রা।
- মানুষের প্রেম প্রকাশিত হয়েছে- ভরা ভাদরে, প্রত্যাখ্যান, লজ্জা, ব্যর্থ-যৌবন, হৃদয় যমুনা, দুর্বোধ প্রভৃতি।
- মৃত্যু বিষয়ক-প্রতীক্ষা, ঝুলন।
- রূপকথা-বিম্ববতী, রাজার ছেলেও মেয়ে, নিদ্রিতা, সুপ্তোত্থিতা।
- ৭. হিন্দু ধর্মের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যার প্রতি বিদ্রুপ -হিংটিং ছট্
আরও পড়ুনঃ মেঘনাদবধ কাব্য PDF | Meghnath Vadh Kabbo Summary in Bengali