যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বই: মাই অটোবায়োগ্রাফি (আমার জীবন)
লেখক: চার্লি চ্যাপলিন
কথা না বলেও শুধু অভিনয়ের মাধ্যমেও যে মানুষকে হাসানো যায় এটা চার্লি করে দেখিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই এই কিংবদন্তির আর মি. বিনের ভিডিও দেখতাম। বলতে গেলে ওদের ভিডিওই ছিল আমার হাসির খোরাক। তাই তাঁদের সম্পর্কে জানার একটা ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই কাজ করছিল। এই ইচ্ছা থেকেই গতকাল চার্লির জীবনী নিয়ে লেখা মাই অটোবায়োগ্রাফি বা আমার জীবন বইটা শুরু করলাম, আজকে দুপুরের দিকে শেষ করলাম। বইটা অনেক ভাগে ভাগ করা থাকলেও আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এখানে লিখছি।
১. প্রাথমিক জীবন
মাত্র ৬ বছরের শিশু থাকা অবস্থায় মদ্যপ বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়, এর কয়েক বছর পর অভাবের কারণে না খেতে পেরে তার মায়েরও মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়। মা পাগলাগারদে থাকাকালীন সময়টা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের সময়, প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হত তাঁকে। এটা নিয়ে একটা বক্তব্যে বলেছিলেন, “ক্ষুধা কী জিনিস এটা কোন পরিচালকের কাছ থেকে শিখতে হয়নি, ক্ষুধার্ত মানুষ আমার কাছে খুবই পরিচিত চরিত্র।” আসলে তার বাল্যকালটা এতই সংগ্রামপূর্ণ ছিল যে, তার সম্পর্কে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার জ্যাক লন্ডন বলেছে “চার্লি ছিলেন এমনই এক বালক যার বাল্যকাল বলতে কিছুই ছিল না।”
আরও পড়ুনঃ রিক্তের বেদন গল্পের বিষয়বস্তু | রিভিউ | PDF | কাজী নজরুল ইসলাম
২. পারিবারিক জীবন
কষ্ট কখনো তাঁর পিছু ছাড়েনি। ছোটবেলায় বাবা মায়ের আদর পায়নি, বড় হয়েও নিজের পরিবার নিয়ে শান্তিতে ছিলেন না। তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন চার চারবার। এ নিয়ে চার্লির নিজের বক্তব্য হচ্ছে প্রথম তিনটি বিয়ের নারীরা তাঁর জীবনে এসেছিল বর্ণিল জীবনের আকর্ষণে। আবার কেউ এসেছিল অগাধ অর্থের মোহে। আবার কেউ, অভিনয়ের ক্যারিয়ারে উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে চার্লিকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। যে কারণে তারা কেউই টেকেনি। শেষ বিয়েটা টিকেছিল । আর প্রথম প্রেম, যেটা বিয়েতে গড়ায়নি, সেই প্রেমই চার্লি আজীবন মনে রেখেছিলেন শ্রদ্ধাভরে। যেটি ১৯০৮ সালে ১৯ বছর বয়সে ‘হেটি’ নামে এক মেয়ের প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন চার্লি। কিন্তু মাঝখানে কিছুদিনের জন্য আমেরিকা চলে যাওয়ায়, তাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয় এবং সেখান থেকে এসে দেখে হেটির বিয়ে হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম-সনদ অথবা সার্টিফিকেটে নামের ভুল সংশোধন
৩. চলচ্চিত্র জীবন
চলচ্চিত্র জীবনে তিনি কতটুকু সফল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর মা মঞ্চগায়িকা হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই অভিনয় জগতের সাথে পরিচিত। তিনি টিনেজ বয়সেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন ‘শার্লক হোমস’ এর ‘বিলি’ চরিত্রের মাধ্যমে। তারপর ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র জগতের সফল তারকা বনে যান। তার অনেক চলচ্চিত্র পুরো বিশ্বেই সুনাম অর্জন করে। (গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি চলচ্চিত্র নিয়ে পরের পোস্টে লিখব) সফল অভিনেতা, সফল পরিচালক হিসেবে অস্কারসহ জীবনে অনেক পুরষ্কার অর্জন করে।
১৯৭৭ সালে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান এই কিংবদন্তি। যে সাসপেন্স ছিল চার্লির নিত্যসঙ্গী তাকে চার্লি ছেড়ে দিলেও সে চার্লিকে ছাড়ল না। মৃত্যুর ৩৫ দিন পর কবর থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল চার্লির মরদেহ। একেবারে ফিল্মি স্টাইলে দু’দিনের মধ্যে তাঁর স্ত্রী ‘উনা’র কাছে শবদেহের বিনিময়ে ছয় লাখ সুইস ফ্রা দাবি করে কোহাট নামে এক ব্যক্তি ফোন করে। উনা সেই টাকা দিতে রাজি হননি। অবশেষে ১৬ দিন পর পুলিশ শবদেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে আটক হয় রোমান ওয়ার্ড এবং জানেড নামের দুই অটো মোবাইল মেকানিক । একেবারেই মরদেহের বিনিময়ে টাকা আদায়ই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। যাহোক মরদেহ পেয়ে আবার কবর দেয়া হয়েছিল সুইজারল্যান্ডেই।
রিভিউ করেছেনঃ মাহমুদুল হাসান রবিন