Skip to content
Home » কল্পনা কাব্যগ্রন্থ PDF | মূলভাব বিষয়বস্তু শিল্পমূল্য | Kolpona Kabbo

কল্পনা কাব্যগ্রন্থ PDF | মূলভাব বিষয়বস্তু শিল্পমূল্য | Kolpona Kabbo

কল্পনা কাব্যগ্রন্থ PDF মূলভাব বিষয়বস্তু শিল্পমূল্য Kolpona Kabbo rabindranath kobita

যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

বইঃ কল্পনা
লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধরণঃ কাব্য়গ্রন্থ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম “কল্পনা”। ১৯০০ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর বন্ধু শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে। কল্পনা কাব্যটিতে মোট ৫০টি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হল–
দুঃসময়, বর্ষামঙ্গল, চৌরপঞ্চাশিকা, স্বপ্ন, মদনভস্মের পূর্বে, মদনভস্মের পর, মার্জনা, চৈত্ররজনী, স্পর্ধা, পিয়াসী, পসারিনী, ভ্রষ্ট লগ্ন, প্রণয়প্রশ্ন, আশা, বঙ্গলক্ষ্মী, শরৎ, মাতার আহ্বান, ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ, হতভাগ্যের গান, জুতা-আবিষ্কার, সে আমার জননী রে, জগদীশচন্দ্র বসু, ভিখারি, যাচনা, বিদায়, লীলা, নববিরহ, লজ্জিতা, কাল্পনিক, মানসপ্রতিমা, সংকোচ, প্রার্থী, সকরুণা, বিবাহমঙ্গল, ভারতলক্ষ্মী, প্রকাশ, উন্নতিলক্ষণ, অশেষ, বিদায়, বর্ষশেষ, ঝড়ের দিনে, অসময়. বসন্ত, ভগ্ন মন্দির, বৈশাখ, রাত্রি, অনবচ্ছিন্ন আমি, জন্মদিনের গান, পূর্ণকাম, পরিণাম।

রবী ঠাকুরের এই কাব্যে প্রাচীন ভারতের সৌন্দর্য, পুরাণ ও জীবনের কথা উঠে এসেছে। কাব্যগ্রন্থটিতে আরও পাবেন প্রাচীন ভারত ইতিহাসের বিশাল পটভূমি, জনজীবন এবং গভীর আত্মজীবনের কথা।

Download Now

মানুষ বিশ্বলোকে জন্ম গ্রহন করে নিজ দায়িত্বে আরো একটি জগৎ নিজের মাঝে তৈরি করেছে তা হলো শিল্পলোক। আর এই শিল্পলোকের অন্তর্গত হলো সাহিত্যলোক। সাহিত্যলোকের শিল্পীরা তাদের শিল্পের উপকরণ কখনো বিশ্বলোক কখনো শিল্পলোক হতে আহরন করে। এতে যেমন প্রকৃতি থেকে কোন উপদান নিলে কোন সমস্যা হয় না, তেমনি শিল্পলোকের শিল্প সাহিত্য যেমন- বাল্মীকি, কালিদাসের প্রভৃতির সৃষ্টি থেকেও উপাদান গ্রহন করা যায়। কল্পনা কাব্যের উপকরন কবি শিল্পলোক থেকেই গ্রহন করেছেন।

আরও পড়ুনঃ নবান্ন নাটকের বিষয়বস্তু চরিত্র প্রেক্ষাপট | বিজন ভট্টাচার্য নাটক PDF

সোনার তরী, চিত্রা প্রভৃতি কাব্যে কবি বর্তমানের কথা, ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলেছেন। জীবন আর প্রকৃতি থেকে উপাদান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এখানে তিনি অতীতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে উপাদান সংগ্রহ করেছেন। কল্পনার অধিকাংশ কবিতায় এই শিল্পজগতের পরিচয় আছে। ভাষা ও ভঙ্গীর শিল্পরূপ কল্পনার আরো একটি বৈশিষ্ট্য।

Download Now

“দুঃসময়” কবিতাটি কল্পনার প্রথম কবিতা আর “অসময়” শেষের দিকে। দুটো যদিও প্রায় একই রকম তবুও পার্থক্য বিদ্যমান। বিষয়টি এমন দুঃসময় দিয়ে কবি প্রবেশ করেছেন সামনে বিশাল রাস্তা গন্তব্য ঠিক নেই, আর অসময় এমন স্থানে তাতে লেখক পৌছে গেছেন প্রায়।

“দূরে কলরব ধ্বনিছে মন্দ মন্দ রে,
ফুরাল কি পথ, এসেছি পুরীর কাছে কি?”

প্রাচীন জীবনের বিচিত্ররূপের রহস্যপুরীতে প্রবেশের জন্য তিনি যাত্রা করেছেন।
কল্পনা কাব্যে বিভিন্নভাবে কতগুলো গান আছে। এছাড়া দুটি ধারার কবিতা লক্ষ করা যায়। যেমন-

১. মানব ও প্রকৃতির সৌন্দর্য, মাধুর্য, ও প্রেমের অনুভূতি পাওয়া যায়:- বর্ষামঙ্গল, চৌরপঞ্চাশিকা, স্বপ্ন, মদনভষ্মের পূর্বে, মদনভষ্মের পর, মার্জনা, স্পর্ধা, পিয়াসী, পসারিনী, শরৎ, বসন্ত, প্রণয়-প্রশ্ন, প্রকাশ প্রভৃতি কবিতায়।

২. জীবনে ভোগ আর ত্যাগের অন্তর্দ্বন্ধ প্রকাশ পেয়েছে:-দুঃসময়, অসময়, অশেষ, বিদায়, বৈশাখ, বর্ষশেষ, রাত্রি প্রভৃতি কবিতায়।

Download Now

আরও পড়ুনঃ কবি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় PDF | Kobi Tarashankar Bandopadhyay

প্রথমধারার কবিতা গুলো সোনারতরী বা চিত্রা কাব্যের সমগোত্রীয় হলেও কবি এতে যোগ করেছেন, প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য ও ইতিহাস। এ যেন পুরাতন শিল্পের আদলে নতুন শিল্পরূপ। প্রকৃতির বিচিত্র রূপের যে সৌন্দর্য তার একনিষ্ঠ ভক্ত হলেন রবীন্দ্রনাথ। সৌন্দর্যের যে আধার ঘেরা রহস্য কবি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই এর তল খুঁজে গেছেন।

মানবপ্রেমকেও কবি উপরে উঠিয়ে অতীতের মধ্যে সমর্পন করে সকল কালের সাথে তার একটা সম্বন্ধ করে দিয়েছেন।

“বর্ষামঙ্গল” কবিতাটিতে ধ্বনি, শব্দ, ছন্দের অপূর্ব নৃত্যে উন্নিত করেছেন। এতে ভারতের পূর্বেকার সকল কবিদের অভিনন্দিত করে নববর্ষার রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন।

Download Now

“শতেক যুগের কবিদলে মিলি আকাশে
ধ্বনিয়া তুলিছে মত্তমদির বাতাসে
শতেক যুগের গীতিকা।”

“স্বপ্ন” কবিতায় কালিদাসের কালের একটি অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।

“মদন-ভষ্মের পূর্বে” কবিতায়, প্রেমের দেবতা মদন। কবি তাকে আহ্বান করেছেন। কিন্তু মহাদেব তো মদনকে ভস্ম করে দিয়েছেন।

“মদন-ভস্মের পর” কবিতায় বলেন মদন একটা প্রভাবের গন্ডিতে আবদ্ধ ছিলো, কিন্তু ভস্মের পর তা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। তাই আকাশে বাতাসে আজ প্রণয় সংকেত।

আরও পড়ুনঃ শেষের কবিতা PDF | সারসংক্ষেপ | Shesher Kobita | Read Online

“অশেষ” কবিতায় কবি বলেন, তার জীবনে সন্ধ্যা নেমে আসছে। তার ক্লান্ত শরীর বিশ্রাম কামনা করছে। কিন্তু এসময় জীবনদেবতা তাকে নতুন কাজে আহ্বান করছেন। যা পুরোটাই অসময়ে হয়ে গেলো।

“বিদায়” কবিতায় কবি শান্ত, গভীর বিষাদে পূর্ব জীবন থেকে অবসর নিচ্ছেন। এ বিদায় ঠিক মৃত্যু নয়। কাজ হতে অবসর মাত্র।

Download Now

“বর্ষশেষ” কবিতায় কবি ঝড়ের পূর্বভাসের রূপ ফুটিয়েছেন। কালবৈশাখী ঝড়কে তিনি নিজের জীবনে আহ্বান করেছেন।

কল্পনার কাহিনীতে প্রাচীন বস্তু আছে, কথায় আছে প্রাচীনের চিত্রধর্ম। বিষয়বস্তু, রূপনির্মান, বাক্যে সংস্কৃতস্বাদ। সংস্কৃত সাহিত্যকে আধুনিক কবি হয়ে তিনি পুনরুজ্জীবিত করেছেন। বস্তুত কবি তার বিশিষ্ট প্রতিভার অগ্রগতিতেই সংস্কৃত সাহিত্যানুরাগী হয়েছেন।

লিখেছেনঃ ফেরদৌসি রুমী


আরও পড়ুনঃ গল্পগুচ্ছ Read Online | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Golpo Guccho PDF

Download Now

স্বপ্ন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দূরে বহুদূরে

        স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনীপুরে

খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রানদীপারে

মোর পূর্বজনমের প্রথমা প্রিয়ারে।

মুখে তার লোধ্ররেণু লীলাপদ্ম হাতে,

কর্ণমূলে কুন্দকলি কুরুবক মাথে,

Download Now

তনু দেহে রক্তাম্বর নীবিবন্ধে বাঁধা,

চরণে নূপুরখানি বাজে আধা আধা।

                বসন্তের দিনে

ফিরেছিনু বহুদূরে পথ চিনে চিনে।

Download Now

       মহাকাল মন্দিরের মাঝে

তখন গম্ভীর মন্দ্রে সন্ধ্যারতি বাজে।

জনশূন্য পণ্যবীথি, ঊর্ধ্বে যায় দেখা

অন্ধকার হর্ম্য-‘পরে সন্ধ্যারশ্মিরেখা।

              প্রিয়ার ভবন

বঙ্কিম সংকীর্ণ পথে দুর্গম নির্জন।

Download Now

দ্বারে আঁকা শঙ্খ চক্র, তারি দুই ধারে

দুটি শিশু নীপতরু পুত্রস্নেহে বাড়ে।

       তোরণের স্বেতস্তম্ভ-‘পরে

সিংহের গম্ভীর মূর্তি বসি দম্ভভরে।

প্রিয়ার কপোতগুলি ফিরে এল ঘরে,

ময়ূর নিদ্রায় মগ্ন স্বর্ণদণ্ড-‘পরে।

Download Now

       হেনকালে হাতে দীপশিখা

ধীরে ধীরে নামি এল মোর মালবিকা।

দেখা দিল দ্বারপ্রান্তে সোপানের-‘পরে

সন্ধ্যার লক্ষ্মীর মতো সন্ধ্যাতারা করে।

Download Now

অঙ্গের কুঙ্কুমগন্ধ কেশধূপবাস

ফেলিল সর্বাঙ্গে মোর উতলা নিশ্বাস।

প্রকাশিল অর্ধচ্যুত বসন-অন্তরে

চন্দনের পত্রলেখা বাম পয়োধরে।

Download Now

       দাঁড়াইল প্রতিমার প্রায়

নগরগুঞ্জনক্ষান্ত নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়।

          মোরে হেরি প্রিয়া

ধীরে ধীরে দীপখানি দ্বারে নামাইয়া

আইল সম্মুখে–মোর হস্তে হস্ত রাখি

নীরবে শুধাল শুধু, সকরুণ আঁখি,

“হে বন্ধু আছ তো ভালো?’ মুখে তার চাহি

কথা বলিবারে গেনু, কথা আর নাহি।

সে ভাষা ভুলিয়া গেছি, নাম দোঁহাকার

দুজনে ভাবিনু কত–মনে নাহি আর।

দুজনে ভাবিনু কত চাহি দোঁহা-পানে,

অঝোরে ঝরিল অশ্রু নিস্পন্দ নয়ানে।

দুজনে ভাবিনু কত দ্বারতরুতলে!

       নাহি জানি কখন কি ছলে

সুকোমল হাতখানি লুকাইল আসি

আমার দক্ষিণ করে কুলায় প্রত্যাশী

সন্ধ্যার পাখির মতো, মুখখানি তার

নতবৃন্তপদ্মসম এ বক্ষে আমার

নমিয়া পড়িল ধীরে, ব্যাকুল উদাস

নিঃশব্দে মিলিল আসি নিশ্বাসে নিশ্বাস।

          রজনীর অন্ধকার

উজ্জয়িনী করি দিল লুপ্ত একাকার।

          দীপ দ্বারপাশে

কখন নিবিয়া গেল দুরন্ত বাতাসে।

           শিপ্রানদীতীরে

আরতি থামিয়া গেল শিবের মন্দিরে।

আরও পড়ুনঃ যে বইগুলো জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত | ৫০০ বইয়ের তালিকা

Tags:
x
error: Content is protected !!