যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
“কমলাকান্তের দপ্তর” বইটি তিন খন্ডে বিভক্ত। প্রথম খন্ডের নাম “কমলাকান্তের দপ্তর”, যেখানে ১৪ টি প্রবন্ধ আছে। “একা কে গায় ওই”, “মনুষ্যফল”, “উদর দর্শন”, “পতঙ্গ”, “আমার মন”, “চন্দ্রোলোকে”, “বসন্তের কোকিল”, “স্ত্রী লোকের রূপ”, “ফুলের বিবাহ”, “বড় বাজার”, “আমার দুর্গোৎসব”, “একটি গীত”, “বিড়াল”, এবং”টেঁকি”।
এরপর “কমলাকান্তের পত্র” এটি ৫ টি প্রবন্ধ নিয়ে রচিত, “কি লিখিব”, “পলিটিকস”, “বাঙালির মনুষ্যত্ব”, “বুড়ো বয়সের কথা” এবং “কমলাকান্তের বিদায়”। তিন নাম্বারটি হলো “কমলাকান্তের জবানবন্দী। কমলাকান্তের জবানবন্দিতে হাস্যরসের মাধ্যমে প্রসন্নের গাভী চুরির বিষয়ে আফিমখোর কমলাকান্তকে সাক্ষী করা হয়৷ যা কান্ডই না করে কমলাকান্ত!
কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি ১৮৭৩ থেকে ১৮৭৫ সালের মধ্যে রচিত। কমলাকান্তের জবানবন্দি ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়। আর কমলাকান্তের পত্র খন্ডের প্রবন্ধগুলি ১৮৮৫ সালে কমলাকান্তের দপ্তরের দ্বিতীয় সংস্করণের সাথে যুক্ত হয়।
১৮৭৩ সালের মধ্যেই বঙ্কিমচন্দ্র কয়েকটা বড় উপন্যাস রচনা করেছিলেন। দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, চন্দ্রশেখর, বিষবৃক্ষ প্রভৃতি তাঁর প্রথম যুগের রচনা। প্রমনাথ বিশী মনে করেন, “বঙ্কিমচন্দ্রের লেখনী ক্লান্ত হইয়া বিরাম চাহিতেছিলো – তারপর বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনার ভার লইয়া মাসে মাসে পাঠকগণকে কিছু নূতন লেখা সরবরাহ করিবার দায়িত্বও পালন করিতে হইয়াছিলো। সুতরাং হাস্যরস, ব্যাঙ্গবিদ্রুপ মিশাইয়া সেই লেখাগুলি দ্বারা তিনি বঙ্গদর্শনের পাঠকদের মনোরঞ্জন করিতে চাহিয়াছিলেন।”
আরও পড়ুনঃ মেঘনাদবধ কাব্য PDF | Meghnath Vadh Kabbo Summary in Bengali
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মোট ১৪টি প্রবন্ধ সংকলন হচ্ছে “কমলাকান্তের দপ্তর”। পাঠ্য বইয়ে ‘বিড়াল’ এবং ‘কমলাকান্তের জবানবন্দি’ প্রবন্ধগুলো পড়ে এতোটাই ভালো লেগেছিল যে, ঠিক করলাম কমলাকান্তের দপ্তর পড়তেই হবে। তাই অনলাইনে বইটি এনে পড়তে শুরু করলাম। প্রথম কয়েকটি প্রবন্ধ জটিল লাগলেও শেষাংশে অনেক মজা পেয়েছি৷ প্রবন্ধ গুলোর মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র সমাজের অনেক অসঙ্গতির কথা উপস্থাপন করেছেন। বইটি এককথায় চমৎকার।
ব্যঙ্গরসাত্মক রচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ “কমলাকান্তের দপ্তর” সংকলনটি। প্রতিটি প্রবন্ধতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সমাজের প্রভাবশালী কপটদের ব্যাপারে সোজাসুজি কথা না বলে কাল্পনিক চরিত্র আফিমখোর কমলাকান্ত দিয়ে বলিয়েছেন। তার কথা বলার কোন ভারসাম্য নেই, কিন্তু লেখাপড়া জানা মানুষ। ইংরেজী ও সংস্কৃতিতে ভালো দখল তার। এত বিদ্যা নিয়েও তার কোন চাকরী নেই। নেই কোন অর্থোপার্জন ব্যবস্থাও। অথচ বড় বড় মূর্খরা যারা কেবল নাম দস্তখত করতে পারে তাদের অর্থের অভাব নেই। শত বছর আগের চিত্রও যেন বর্তমানের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে দেখা দেয়।
একবার চাকরী হয়েছিল কমলাকান্তের। যেহেতু ইংরেজী বলতে পারে, তাকে একজন ইংরেজ সাহেব অফিসের কেরানীর চাকরী দিয়েছিলেন। কিন্তু সে চাকরীও বেশী দিন টিকেনি। কেন টিকেনি? তা গ্রন্থটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। তো আর দেরি কেন? চলুন পড়ে ফেলা যাক আফিংখোর কমলাকান্তের গল্প…
আরও পড়ুনঃ গল্পগুচ্ছ Read Online | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Golpo Guccho PDF
আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণকান্তের উইল PDF সারাংশ | চরিত্র | Krishnakanter Will Bengali