যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বইঃ দেনা পাওনা
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“সংসারে মিথ্যে কথার অভাব নেই, কিন্তু তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে আবার মিথ্যে কাজের সৃষ্টি হয় তার গুরুভারটাই সওয়া যায় না।”
লোকে বলে চন্ডীগ্রাম নাকি দেবতাদের সম্পত্তি। কিন্তু ক্রমে ক্রমে সেসব সম্পত্তি দখল চলে গেছে রক্ষক ও ভক্ষকদের কবলে।
জমিদার কালিমোহনবাবুর মৃত্যুর পর সে গ্রামের জমিদার হন জীবানন্দ চৌধুরী। এই মদ্যোপেয়, নিষ্ঠুর জমিদারের অত্যাচারে গ্রামের লোকজন কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলো না। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহসও তাদের নেই। কারন জীবানন্দের এক হুকুমে তার লোকজন মানুষ হত্যাও করে। আর মেয়ে মানুষ তার ও তার লোকজনের কাছে তামাশার জিনিস মাত্র।
তারাদাস চক্রবর্তী জমিদারের খাজনার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জমিদারের কয়েকজন পেয়াদা এসে তার মেয়েকে গালমন্দ করতে থাকে। এসব শুনে তারাদাশের মেয়ে ষোড়শী নিজেই ছুটে যায় এই অত্যাচারী জমিদারের মুখোমুখি হতে। আর সেখানেই বাধে বিপদ।
ষোড়শী একজন ভৈরবী, দেবীর সেবিকা। বয়স তেইশ-চব্বিশ তাকে গ্রামের অনেকে সম্মান করে। অথচ সেই ভৈরবীকে মাতাল জমিদার তাচ্ছিল্য করে আর সারা রাত এক কক্ষে বদ্ধ করে রাখে।
আরও পড়ুনঃ একরাত্রি PDF | গল্পের বিষয়বস্তু সারাংশ চরিত্র | Ek Ratri Choto Golpo
পরদিন সকালে তারাদাশ গ্রামের বড় লোকজন আর পুলিশ নিয়ে আসে জমিদারকে ধরিয়ে দিতে, এই বলে যে সে তার লোকজন দিয়ে জোর করে ষোড়শীকে তুলে এনেছে। আর এই ছিলো নিষ্ঠুর জমিদারকে গ্রাম থেকে বিদায় করার এক সুযোগ, যা ষোড়শী নিজেও জানতো। পুলিশ ষোড়শীর কাছে ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায় জমিদারের লোকজন না, সে সেচ্ছায় এসেছে। এরপরেই শুরু হয় তুলকালাম কান্ড।
তারাদাশ ক্ষেপে গিয়ে মেয়ের বিরুদ্ধে চলে যায়। পুরো গ্রাম জুড়ে বদনাম রটে যায় ষোড়শী ভৈরবীকে নিয়ে। এবার আর তাকে এই গ্রামে থাকতে দিবে না তারা। কিন্তু কেন এমন কাজ করলো ষোড়শী? কেন সে বাচাঁলো এই নিষ্ঠুর জীবানন্দকে? কি হয়েছিলো লোকজনের আগমনের আগে যার কারনে ষোড়শী এই সিদ্ধান্ত নেয়?
শরৎচন্দ্রের বই নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বরাবরের মতোই অসাধারন কিছু গল্প থাকে তার লেখা বইয়ে। তার বইয়ের সবচেয়ে ভালোলাগার দিক হচ্ছে নারীচরিত্রগুলো। হোক সে ‘দত্তা’র বিজয়া বা “দেনা পাওনা” বইয়ের ষোড়শী, প্রতিটি চরিত্রই প্রতিবাদী আর নিজ সিদ্ধান্তে অটোল।
‘দেনাপাওনা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন শিবরাম চক্রবর্তী । নাম হয়েছিল ‘ষোড়শী’। অথচ সেই নাটক যখন ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশ পেল সেখানে নাট্যকারের নাম বদলে শরৎচন্দ্রের নাম! শিবরামের বদলে শরৎবাবুর নাম দিলে পত্রিকা বিক্রি হবে বেশি এই ছিলো সম্পাদকের যুক্তি।
আরও পড়ুনঃ দেবদাস উপন্যাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় PDF | রিভিউ Devdas Novel
আরও পড়ুনঃ পথের দাবী গল্পের বিষয়বস্তু PDF | Pather Dabi Summary in Bengali