যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বইঃ বিলাসী
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বহুল জনপ্রিয় একটি ছোটগল্পের নাম বিলাসী। পাঠ্যবইয়ের এই গল্পটির সাথে পরিচিত হই কলেজ জীবনে। যদিও বড় ভাইয়ের সুবাদে স্কুল জীবনেই গল্পটি পড়ে ফেলা হয়েছিলো তবুও পাঠ্যবইয়ে বারবার পড়ার সময় একটুও বিরক্তবোধ আসতোনা। এখনো স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে আছে সেই বিলাসী, মৃত্যুঞ্জয় এবং তাদের সাপুড়ে জীবনের ছবি।
লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গল্পটি বলেছেন ‘ন্যাড়া’র জবানবন্দিতে। ন্যাড়ার সহপাঠী ছিলো মৃত্যুঞ্জয়, যাকে আজীবন সবাই থার্ড ক্লাসে পেয়েছে। সেকেন্ড ক্লাসে উঠতেও দেখে নি কিংবা ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাসও কারো জানা নেই। এক খুড়ো ছাড়া কোন আপনজন ছিলোনা তার। কিন্তু খুড়ো সর্বদা ভাইপোর দুর্নাম রটাতো।
নিজে রান্না করে খাওয়া মৃত্যুঞ্জয়ের আয়ের একমাত্র উৎস ছিলো বাড়ি সংলগ্ন বিশাল আমবাগান। সেই আমবাগানের প্রতি লোভ ছিলো জ্ঞাতি খুড়োর।
আরও পড়ুনঃ ছুটি গল্প PDF | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প | Chuti | বিষয়বস্তু | চরিত্র
গ্রামে মৃত্যুঞ্জয়ের হরেক রকম দুর্নাম থাকলেও, সে ছিল দিল দরদী মানুষ। সবাইকে দোকান থেকে এটা ওটা কিনে খাওয়াত, দরিদ্রকে সাহায্য করত। যদিও সাহায্য পাবার কথা কেউ স্বীকার করত না।
একসময় মৃত্যুঞ্জয় রোগে শয্যাশায়ী হলে সাপুড়ে কন্যা বিলাসী তাকে সুস্থ করে থাকে। মৃত্যুপথযাত্রী মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুকে জয় করে ফিরে আসে শুধু বিলাসীর সেবায়। তারপর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এতদিন মৃত্যুঞ্জয় কেউ দেখতে না আসলেও সাপুড়ের মেয়ে বিলাসীর সাথে বিবাহের কারণে জাত গেল বলে সামাজিক অনাচার-এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসে তার খুড়ো। বিলাসীর হাতে ভাত খেয়ে সে অন্নপাপ করেছে বলে মৃত্যুঞ্জয়ের ঘরে ঢুকে বিলাসীর উপর নির্যাতন চালায়। রোগাক্রান্ত ও দুর্বল মৃত্যুঞ্জয়ের তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ছিল না। তারপর থেকে ঐ বাড়ি ছেড়ে তারা মালপাড়ায় গিয়ে বসতি স্থাপন করে।
অনেকদিন পর গল্পকথক ন্যাড়ার সাথে দেখা হয় মৃত্যুঞ্জয় ও বিলাসীর এবং তাদের দেখে অবাক হয়ে যায় ন্যাড়া। কায়স্থ ঘরের ছেলে যে একেবারে জাত সাপুড়েতে রূপান্তর হয়ে গিয়েছে তা দেখে অবাক হয় ন্যাড়া! তাদের সাথে থেকে ন্যাড়াও মন্ত্রসিদ্ধ হয় শখের বশে।
কিন্তু সাপ ধরার কাজকর্ম বেশিরভাগ সব বিলাসীই করতো এবং নানা অজুহাত দিয়ে দূরে সরানোর চেষ্টা করত। তবে, মৃত্যুঞ্জয় টাকার লোভ সামলাতে পারত না। একদিন এক গোয়ালার বাড়িতে গোখরা সাপ ধরতে গেলে সাপের দংশনে আহত হয় মৃত্যুঞ্জয়। তাবিজ-মন্ত্র দিয়ে চেষ্টা করে যায় বিলাসী। তার ‘মৃত্যুঞ্জয়’ নামের সার্থকতা কি থাকবে? নাকি এইখানেই জীবনের ইতি ঘটবে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন গল্পটি।
আরও পড়ুনঃ গল্পগুচ্ছ Read Online | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Golpo Guccho PDF
Sarat Chandra Chattopadhyay
আরও পড়ুনঃ হৈমন্তী গল্পের বিষয়বস্তু |রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Hoimonti Summary PDF