যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সূর্য দীঘল বাড়ি খ্যাত সাহিত্যিক আবু ইসহাক -এর আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট অভিধান প্রণেতা। “সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান” নামে তিনি একটি অভিধান রচনা করেন। এই অভিধান রচনায় প্রায় সারাটি জীবন লেগে ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে পর্যন্ত কাজ করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়।
আবু ইসহাক লিখতে বসলেন বিষেশিত শব্দের ছোট একটা অভিধান। লিখতে লিখতে সময় চলে গেলো তিরিশ বছর। আবু ইসহাক নানা ধরনের বই পুস্তক ও পত্রপত্রিকা চষে শব্দ বের করতেন। সেগুলো ছোট ছোট কার্ডে লিখে রাখতেন। কার্ডগুলো রাখতেন গুঁড়ো দুধের কৌটায়। পরে সেগুলো বাছাই করে সূতোয় মালা গেঁথে সাজাতেন। তাঁর এই কাজে সাহায্য করেন তাঁর পুরো পরিবার। এভাবে দুই লাখেরও বেশি বিশেষিত শব্দ দিয়ে মালা গাঁথলেন তিঁনি। শব্দের এই মালাগুলো পুস্তক আকারে রুপ নিয়ে হলো বাংলা ভাষার অমূল্য সম্পদ ‘সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান’ (২ খন্ড, ১৯৯৩, ১৯৯৮) যা বাংলা কোষগ্রন্থের পরিধিকে বাড়িয়ে তুলেছেন। তাঁর প্রণীত অভিধানের বিশেষত্ব হলো শব্দের শুধু অর্থ নয়, সব ধরনের প্রতিশব্দ বা সমর্থক প্রদান। তাঁর অভিধানে ‘অন্ধকার’ শব্দের ১২৭টি সমর্থক শব্দ আছে।
প্রায় ষাট বছরের দীর্ঘ লেখকজীবনে আবু ইসহাকের সাহিত্য সংখ্যা নগণ্য হলেও সেই ৬০-দশক থেকেই তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান রচনার কাজ করছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করে গেছেন। সাহিত্যে এত বিচ্ছিন্নতা, এত নিভৃতিচারিতা সত্ত্বেও শক্তিমান কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাক স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর অমর কিছু কাজের জন্য।
কথাসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট অভিধান প্রণেতা আবু ইসহাক মৃত্যুবরণ করেন – ২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান বইটির পিডিএফ শিগ্রই এই লিঙ্কে আপলোড করা হবে। পাঠককে অনুরোধ করা যাচ্ছে নিয়মিত এই লিঙ্কটি চেক করার জন্য। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ বাংলা গালি অভিধান PDF রিভিউ Bangla Gali Ovidhan PDF
সূর্য দীঘল বাড়ি | আবু ইসহাক বই রিভিউ | Surja Dighal Bari Book PDF