যেকোন বইয়ের ফ্রি পিডিএফ পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের PDF Download সেকশনটি ভিজিট করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বইয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের এই অনলাইন পাঠশালা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বই: মায়ামৃগ
লেখিকা: ইলমা বেহরোজ
প্রকাশনী: অন্যধারা
প্রচ্ছদ: সদিতজ্জামান
মুদ্রিত মূল্য: ৬৬০৳
ফ্ল্যাপ:
হীরাকান্তের অদৃশ্য সরোবরে ফোটা কোনো অচিন ফুলের মতো,
প্রণয়নীর বিনুনিতে গেঁথে রাখা আছে প্রণয় শত শত।
তুমি থাকলে পাশে সৃষ্টির সকল সুখ চিরসত্য,
অবেলার তুষার গলা জমাট জল, তারকারাজির ঝিলমিল রং,
তুমি থাকলে পাশে তীব্র আঘাতেও এই ধরণী অমর।
তুমি হৃদয় গহীনে, নীলয়ের আলিঙ্গনে বেঁচে আছো, ‘বিচ্ছেদ’ তো কেবল একটি শব্দ মাত্র!
কিছু সম্পর্কের মায়ার বাঁধনে মানুষ মানুষকে সামলে রাখে, আগলে থাকে,
বাঁচতে শেখায়, অতল জলে না ডুবেও ভাসতে শেখায়। জড়িবুটি হয়ে হৃদয়ের জখম তাড়ায়।
আবার কিছু সম্পর্ক কাঠের নৌকা যেমন,
মাঝসমূদ্র হেসে খেলে পার করিয়ে তীরে এসে তরী ডুবায়।
আঁধারী সমীর আমারে নতমুখে শুধায়,
‘প্রিয়তমকে এক শব্দে ব্যখ্যা করার কী উপায়?’
স্মিত হেসে বলি, ‘মায়ামৃগ চেনো?’
ছুঁয়ে দেখার আগেই সে হারিয়ে যায় যেনো!
~কুহু চৌধুরী।
কাহিনী সংক্ষেপ:
মায়ামৃগ বইয়ের কাহিনী শুরু হয় ফ্লোরা ও তার পোষা কু কু র টোটো কে নিয়ে। ফ্লোরা তার পোষা টোটো কে নিয়ে হীরাকান্ত দ্বীপে আসে। সেই দ্বীপে ঘটনাচক্রে সুলেমান ও তার সঙ্গীরা আগে থেকেই ছিল। সুলেমান আর ফ্লোরার দেখা হওয়া তারপর বিভিন্ন ঘটনায় জর্জরিত উপন্যাস মায়ামৃগ । হীরকান্ত দ্বীপ, যা পৃথিবীর কোনো দেশের ই অংশ নয় এমন একটা দ্বীপে ফ্লোরা একা কেন এসেছে? কি সেই রহস্য? সুলেমান ই বা কেন সেখানে সঙ্গীদের নিয়ে ছিল? জানতে হলে পড়তে হবে “মায়ামৃগ”।
আরও পড়ুনঃ আমি পদ্মজা ইলমা বেহরোজ উপন্যাস PDF | Ami Padmaja Uponnash
চরিত্র বিশেষণ:
ফ্লোরা: পুরো নাম ফ্লোরা ডি রোজারিও। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বলা যায় ফ্লোরা। কিশোরী মেয়ে যে বয়সে প্রাণোচ্ছল থাকার কথা সে বয়সে ও প্রচণ্ড হতাশায় আচ্ছন্ন।
সুলেমান: উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র। সাহসী, শক্তিসমর্থ, তিক্ষ বুদ্ধিসম্পন্ন, দূরদর্শী চরিত্র। যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বদা অবিচল থেকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
শিরিন: সুন্দর একটি চরিত্র শিরিন। ফ্লোরা কে সবসময় আগলে রাখতে বোনের মত। স্ত্রী হিসেবেও অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। একদিকে যেমন কোমল মনের অপরদিকে সাহসী।
বাহার: সুন্দরী নারী বাহার।উপন্যাসে বাহারের চরিত্র বেশি সময় ছিল না। তবে অন্যতম চরিত্র।
গফুর: শিরিনের স্বামী গফুর। কিছুটা বকা মনে হলেও সাহসী। দলের কাজে সর্বদা অবিচল থেকেছে।
তালিবুল: দলের বয়োজ্যেষ্ঠ চরিত্র। বয়স তাকে কাবু করতে পারেনি। জংগলের লতাপাতা দিয়ে ভেষজ চিকিৎসা করে সুস্থ করে দিতে পারেন।
জুহাদ: সুদর্শন বইপড়ুয়া ছেলে জুহাদ। বই নিয়েই বেশি সময় থাকে। মাঝে মাঝে হাস্যকর কথা বলে দলটাকে প্রাণবন্ত রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ ইহুদি জাতির ইতিহাস PDF Download | আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
মায়ামৃগ বইটির শুরু থেকে শেষ অব্দি হীরকান্ত দ্বীপের সুন্দর বর্ণনা ছিলো। শীলাছরি, পাহাড়, হ্রদ, ঝর্না সবকিছু নিখুঁত বর্ণনা করেছেন লেখিকা। মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। বই টি পড়ার সময় কিছু জায়গায় নিদারুণ কষ্ট পেয়েছি। প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধু, মানবতা, সবকিছুর পূর্ণতা পেয়েছে বইটিতে। হিংস্র প্রাণীদের থেকে রক্ষা করার কৌশল সুন্দর বর্ণনা করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য বইটা সেরা।
কিছু প্রিয় লাইন:
“নিজের ভুল ধরা গেলে সুখী হওয়ার পথ সহজে খুঁজে পাওয়া যায়”
“বিচ্ছেদের সুর মায়া থাকে না, তাল থাকে না,থাকে শুধু যন্ত্রণা।”
“বয়স আর অতীত তখনই সম্পর্কের সূত্রপাত বাঁধা হতে পারে যখন অংশকারিদের অনুভূতি ঠুনকো হয়।”
“আই ফিল সামথিং টোটো। মাই হার্ট ইজ ট্রেম্বলিং।”
“আজ যেটা না পেলে জীবন বৃথা মনে হচ্ছে, আগামীকাল সেটাই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মনে হবে।”
“তুমি রাজপুত্রের রানী হওয়ার যোগ্য। অথচ বুকের মূল্যবান হৃদয় অপাত্রে দান করে অতল সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছো।”
“আমি ভালো আছি সুলেমান। সময় থেমে থাকেনি, শুধু মাঝেমধ্যে মন থেমে যায়।”
বই নিয়ে মতামত:
লেখিকার প্রথম বই হিসেবে তেমন কোনো ভুল ত্রুটি চোখে পড়েনি। কয়েকটা বানান ভুল ছিল। তাছাড়া সুন্দর সাবলীল ভাষায় প্রতিটি বাক্য নিখুঁত ছিল। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পেতে বইটি পড়তে পারেন।
বই রিভিউ- রাইমা